![প্রয়োজনে ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা পাঠানো হবে : ম্যাক্রোঁ প্রয়োজনে ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা পাঠানো হবে : ম্যাক্রোঁ](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/France--president-2402291914.jpg)
ফাইল ছবি
রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে কিয়েভকে সাহায্য করার জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনে ন্যাটো সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ওই প্রস্তাবের ঘটনায় ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে এই অনুরোধে তারা সাড়া দেবে না।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎয এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'ইউক্রেন ভূখণ্ডে কোনও স্থল বাহিনী থাকবে না। ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে কোনও সৈন্য সেখানে পাঠানো হবে না।' উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা ন্যাটো'র মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন- ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের কোনো ইচ্ছা ন্যাটো জোটের নেই।
ইউক্রেনে যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় কিয়েভের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলির ব্যাপক সমর্থন সত্ত্বেও, বর্তমানে ইউক্রেন আর্থিক এবং সামরিক দিক থেকে চরম সংকটে রয়েছে। ইউক্রেনকে সমর্থনকারী বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ এখন কিয়েভকে আর্থিক সহযোগিতাসহ অস্ত্র সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে কিয়েভকে মার্কিন সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ইউরোপ এবং আমেরিকা ইউক্রেনকে ১৬৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি সাহায্য দিয়েছে।
ওই সাহায্যের পরিমাণ এখন কমে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনকে মার্চের মধ্যেই ১০ লাখ মর্টারের গোলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি জেলেনস্কি বলেছেন, তারা মাত্র এক তৃতীয়াংশ পেয়েছেন। এইরকম পরিস্থিতেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা পাঠানোর সম্ভাবনার বিষয়টি উত্থাপন করলেন। ইউক্রেনকে সাহায্য করা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলন শেষে তিনি একথা বলেন। ম্যাক্রোঁ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে কিছুতেই রাশিয়াকে বিজয় লাভ করতে দেওয়া হবে না। এই লক্ষ্যে যা যা করা দরকার সবই করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের সম্ভাবনার কারণে ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন ও সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সূত্র : পার্সটুডে।