ছবি: সংগৃহীত
সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। বুধবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এর আগে মঙ্গলবার ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ডিসেম্বরে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায়। তিনি বলেছেন, চলতি নভেম্বর মাসের শেষ সময় থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এই এলাকায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ডিসেম্বর মাসে কয়েকটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। উত্তরাঞ্চলের এই জেলাটিতে প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। এতে করে জেঁকে বসছে শীত। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা।
অপরদিকে তাপমাত্রা কমায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। গরম কাপড়ের দোকানে বিক্রি বেড়েছে। ক্রেতারা সামর্থ অনুযায়ী, শীতের কাপড় কিনছেন। শীতের পিঠাপুলি তৈরির ধুমও পড়েছে। সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় করে পিঠার স্বাদ উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।
তবে ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ বলেন, বুধবার পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ক্রমশই কমছে। গত সাত দিন ধরে টানা পঞ্চগড়ে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে নভেম্বর মাস শেষে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, রাতে ঘন কুয়াশা পড়ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। দিনে রোদের কারণে কিছুটা উষ্ণতা বাড়ছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে বেশ।
এখন থেকে পঞ্চগড়ে দিনের তাপমাত্রা দিন দিন কমতে থাকবে বলেও জানান তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায়।




