
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জারি হওয়া ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে চাকরিতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। এর মধ্যে একজন এলপিআরে রয়েছেন। আরেকজন সেনাসদস্য পলাতক রয়েছেন।শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে সেনাবাহিনী আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘গুমের মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে তাদের ওয়ারেন্টের কপি হাতে পায়নি সেনাসদর।’তিনি আরও বলেন, তিন মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জন অবসরে রয়েছেন। একজন এলপিআরে। বাকি ১৫ জন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে কর্মরত ১৫ জন এবং এলপিআরে থাকা একজন সেনা কষ্ট দিতে এসেছেন।
মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, মেজর জেনারেল কবির আহমেদ গত ৯ অক্টোবর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলে কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি সেনা সদরের জয়েনও করেননি। বিভিন্ন বন্দর ও এয়ারপোর্ট সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। রাতে কেউ দেশত্যাগ করতে না পারেন।
হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও চায় গুম, খুনের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঠিক বিচার হোক। সেনাবাহিনীর চায় ইনসাফ। ন্যায়বিচার বা ইনসাফের প্রশ্নে সেনাবাহিনী আপসহীন। তবে অফিসিয়ালি এখনও চার্জশিটের কপি সেনাবাহিনী হাতে পায়নি। নোটিশ দেওয়ার পরেও মেজর জেনারেল কবির নামে একজন সেনা কর্মকর্তা সাড়া দেননি। তার বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে চার্জশিটের কপি পেলে আমরা কার কি অপরাধ তা খতিয়ে দেখব।