
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসানে ইসরাইল ও হামাসের চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকায় দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের পথ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর খবরকে আমি স্বাগত জানাই। এই চুক্তিটি এখন অবিলম্বে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং গাজায় জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তার ওপর থেকে অবিলম্বে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে।’
গাজায় সংঘাত বন্ধে মিশরে গত সোমবার থেকে শুরু হয় হামাস-ইসরাইল পরোক্ষ আলোচনা। টানা তিনদিনের মাথায় বুধবার (৮ অক্টোবর) মার্কিন শান্তি পরিকল্পনার প্রথম দফা কার্যকারে একমত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস। রাতেই যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষরের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বার্তায় তিনি বলেন, এর ফলে খুব দ্রুত সব বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে এবং স্থায়ী শান্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইসরাইল তার সেনাদের একটি নির্দিষ্ট রেখা পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নেবে।
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ২০ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। গোষ্ঠীটির এক সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। হামাস এরই মধ্যে ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের একটি তালিকা জমা দিয়েছে। ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আজ বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এই তালিকা এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করবে বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লেইটার বলেছেন, মন্ত্রিসভা চুক্তিটি অনুমোদন করার পর গাজা থেকে জীবিত ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দেয়ার জন্য হামাস ৭২ ঘন্টার সময় পাবে। এদিকে ইসরাইলি সামরিক প্রধান ইয়াল জামির যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ‘স্বাগত’ জানিয়ে বলেছেন, তিনি তার সেনাদের ‘যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার’ নির্দেশ দিয়েছেন।