ছবি- সংগৃহীত
ঢাকা: ‘ভগবানজি’র চিকিৎসক ও সান্নিধ্যধন্য ডা. আর পি মিশ্র মারা গেছেন। ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদের বাসিন্দা ৯৬-এ পা দেওয়া এই চিকিৎসক গত সোমবার মারা যান। মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের বহু গবেষক ও বিশিষ্টজনদের দাবি, উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদের রহস্যময় সাধু ‘ভগবানজি’ই হচ্ছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। অজ্ঞাতবাসে এই সাধুর ঘনিষ্ট সাহচর্য যাঁরা পেয়েছেন তাদের অন্যতম ছিলেন আর পি মিশ্র, যিনি সোমবার রাতে চলে গেলেন।
বিশিষ্ট নেতাজি গবেষক ড. জয়ন্ত চৌধুরী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, নেতাজির বহু অনুগামীর মতো আর পি মিশ্রও নীরবে বিদায় নিয়েছেন। কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বা সম্মান জুটেনি তাঁর শেষ বিদায়ে। ‘ভগবানজি’র একনিষ্ট সেবক সুরজিত দাশগুপ্তে ও দুলাল নন্দীর মতোই তিনি চলে গেলেন।
নেতাজি গবেষকদের মতে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তথাকথিত বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর রটিয়ে অজ্ঞাতবাসে চলে যান। অজ্ঞাতবাসে ব্রিটিশ বিতাড়নে তিনি আরও বেশি সক্রিয় ছিলেন। ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী’র তকমা নিয়ে ছদ্মবেশে বিভিন্ন সময় তিনি স্বদেশের নানা প্রান্তে অবস্থান করেছেন। আশির দশকে উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদের রামভবনে ‘গুমনামি বাবা’র ছদ্মবেশে রহস্যময় সাধুই মূলত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-স্বয়ং এই দাবি তুলেন নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে গঠিত মুখার্জি কমিশনের প্রধান বিচারপতি মনোজ কুমার মুখার্জী।
রামভবনে অবস্থানের সময়ে ‘গুমনামি বাবা’র ঘনিষ্ট সাহচর্যে যাঁরা আসেন তাদের অন্যতম ছিলেন ডা. আর পি মিশ্র। মুখার্জি কমিশনে সাক্ষ্য দিতে এসে অন্য কথা বললেও পরবর্তীতে একাধিক গবেষক ও গণমাধ্যমের কাছে তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করেন ‘গুমনামি বাবা’র প্রকৃত পরিচয়। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন ফৈজাবাদে মৃত্যুবরণ করা সাধু সেই গুমনামি বাবা ছিলেন না। তিনি সেখান থেকেও অন্তর্ধান করেন।