ফাইল ছবি
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারা দেশে উদ্যাপন করা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। বিশেষ এ দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার সবার।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আর জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সারা দেশে দিনভর ছিল নানা আয়োজন। কিন্তু সাধারণ মানুষ আর শিশুদের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৫ সালের জন্মদিনটি কেমন ছিল? যে ইতিহাস অন্ধকারে ছিল সুদীর্ঘ বছর ধরে।
এ নিয়ে শুক্রবার রাতে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ৮ মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
ফেসবুকে জয় লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের মার্চের ১৭ তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পুরো রাস্তা ছিল তার হাজার হাজার সমর্থক, দলীয় নেতাকর্মী আর সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখর। এক সময় আমার নানা বঙ্গবন্ধু চলে আসলেন তার বাড়ির গেটের কাছে, সেখানে দাঁড়িয়েই মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষ আর বাচ্চাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও করমর্দন করতে ভুললেননি জনতার নেতা।’
রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১৯৭৫ সালের এই দিনটি অনেক ব্যস্ত ছিল জানিয়ে জয় লিখেন, ‘দেশের জন্য অবদান রাখা মানুষদের সেইদিন দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু পুরস্কার - ১৯৭৪, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পরই বঙ্গবন্ধু ছুটে গেলেন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা স্কুলের শিশুদের কাছে। তারা গানে গানে আর কবিতা আবৃত্তি করে বঙ্গবন্ধুকে জানালো তাদের ভালোবাসা। একজন রাষ্ট্রপতি এরকম সাদামাটাভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারে তা না দেখলে বুঝার উপায় নেই।’
তিনি আরও লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর, সামরিক শাসকেরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এ রকম অনেক তথ্য চিরতরে মুছে দেয়ার চেষ্টা করেছিল, কিছু ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অনেক দুর্লভ ভিডিও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ উদ্ধার করেছে বিভিন্ন উৎস থেকে, ইতিহাসের অনেক ঘটনা এখন জনসম্মুখে আসছে।’
সবশেষ স্বাধীনতার মাসে বাঙালি জাতির মহান নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
