ছবি- সংগৃহীত
ঈদ সামনে রেখে করোনার ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামের পথে ছুটে যাচ্ছেন। এতে পথে যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।এর ফলে ঈদের পরে যেকোনো সময় পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে যেতে পারে। রোববার এক অনলাইন বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যতম মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম এই আশঙ্কার কথা জানান।
চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে টানা ৯ দিন ধরে পরীক্ষার বিপরীতে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এতে আত্মতুষ্টির কারণ নেই।
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা সবার প্রচেষ্টায় যে জায়গায় এসেছি, এখানে যদি শিথিলতা দেখানো হয়; গাদাগাদি করে যদি মানুষ এভাবে ভ্রমণ করতে থাকে, তাহলে ঈদের পরে পরিস্থিতি যেকোনো সময় ভালো থেকে খারাপের দিকে চলে যেতে পারে। এই আশঙ্কা আমাদের আছে।
আর আছে বলেই বিধিনিষেধের ওপর বারবার জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তিনি জানান, দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সারা দেশে উদ্বেগ আছে। ভয় না পেয়ে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করা গেলে বর্তমানের স্থিতিশীল অবস্থা ধরে রাখা সম্ভব হবে। ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের কঠোরভাবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
করোনার ঝুঁকি নিয়েই বাড়ির পানে ছুটছে হাজার হাজার মানুষ। ব্যাপক নজরদারির মধ্যেও ফেরিতে উঠতে মরিয়া যাত্রীরা।রাত বাড়তেই ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ে কয়েকগুণ। যে কোন উপায়ে ফেরিতে ওঠার চেষ্টা তাদের। বিজিবিও ঠেকাতে পারছে না জনস্রোত।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কিংবা দুর্ঘটনার শঙ্কা: কোনো কিছুই থামাতে পারছে না তাদের। ফেরিতে ওঠার এই প্রাণপণ চেষ্টা কেবল বাড়ি ফেরার তাড়নায়।সন্ধ্যা গড়াতেই গাড়ির দীর্ঘ সারিতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়ে থাকে জরুরি পরিবহন। রাতের আঁধারেও মানুষের ঢলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে।
লকডাউন, কঠোর বিধিনিষেধসহ নানা পদক্ষেপে করোনা সংক্রমণের লাগাম টানার চেষ্টা করছে সরকার।শেষমেষ রোববার থেকে পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় বিজিবি। কিন্তু কোন কিছুই গতিরোধ করতে পারছে না ঘরমুখো মানুষের।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, লাশ কিংবা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স আসলে তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় এক থেকে দুটি ফেরি চলাচল করছে।আর মুন্সিগঞ্জের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম বলেন, সব বাধা অতিক্রম করে ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে তারা বাড়িতে ফিরছেন।
শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে যে যেভাবে পারেন উঠেছেন ফেরিতে। যাত্রী কিংবা পরিজন নিয়ে মোটরসাইকেলেও পারাপারের চেষ্টা করেন কেউ কেউ।কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।