
ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেশী দেশগুলোতে পোলিও আক্রান্ত থাকায় বাংলাদেশ কিছুটা পোলিও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রোটারি ডিস্ট্রিক ৩২৮১ এর গভর্নর মো. আশরাফুজ্জামান নান্নু । মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে 'বিশ্বকে পোলিওমুক্ত করতে রোটারির অবদান' শীর্ষক এক সেমিনারে একথা বলেছেন তিনি।
'রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক ৩২৮১, বাংলাদেশ' এর পক্ষ থেকে রোটারি ক্লাব অব ধানমন্ডি সেন্ট্রাল আয়োজিত অনুষ্ঠানে আশরাফুজ্জামান নান্নু বলেন, ‘বাংলাদেশ কার্যত ২০০৭ সাল থেকে পোলিওমুক্ত হলেও প্রতিবেশী দেশগুলোতে পোলিও আক্রান্ত থাকায় বাংলাদেশ কিছুটা পোলিও ঝুঁকিতে রয়েছে। তাছাড়া পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে একজন পোলিও আক্রান্ত বিদ্যমান থাকলেও আমরা পৃথিবীকে ঝুঁকিমুক্ত বিবেচনা করবো না। বিশ্ব পোলিও দিবস উপলক্ষে আমাদের অঙ্গীকার পোলিওমুক্ত বিশ্ব' চাই।
তিনি জানান, ‘১৯৭৯ সালে ফিলিপাইনে শিশুদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হওয়া রোটারির পোলিওমুক্ত বিশ্ব প্রকল্প এখন সফলতার কাছাকাছি চলে এসেছে। চার দশক ধরে বিশ্বব্যাপী পোলিও নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে রোটারি।’
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রোটারির সদস্যরা একত্রিত হয়ে স্থানীয়ভাবে এবং বিশ্বব্যাপী বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেন। রোটারি ১৯৮৫ সালে পোলিওপ্লাস চালু করে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৮ সালে বিশ্বে পোলিও নির্মূল উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল। রোটারি এবং আমাদের অংশীদারদের কয়েক দশকের প্রতিশ্রুতি এবং কাজের মাধ্যমে, ২.৫ বিলিয়নেরও বেশি শিশু মৌখিক পোলিও টিকা গ্রহণ করেছে। সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী পোলিও ৯৯.৯ শতাংশ হ্রাস করেছে।
সেমিনারে ডিস্ট্রিক পোলিওপ্লাস কমিটি চেয়ার ডিজিই (ডিস্ট্রিক-৩২৮৩) ইব্রাহীম খলিল আল-জায়েদ পিনাক, ডিস্ট্রিক গভর্নর ইলেক্ট হাফিজ ইউ বিপ্লব, পিডিজি এস এ এম শওকত হোসেন, ডিস্ট্রিক গভর্নর নোমানি মো. শহিদুল বারী, বিশ্ব পোলিও দিবস পর্যবেক্ষণ কমিটির ইভেন্ট চেয়ার টি আই এম নুরুল কবির, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।