ঢাকা : রাজশাহীর বাগানগুলোতে দু`দিন পরই গাছ থেকে নামানো হবে সুস্বাদু আম। জাত ভেদে সাত ধাপে জুলাই পর্যন্ত আম নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে খুশি ক্রেতা ভোক্তারা। তবে, সময় নির্ধারণ নিয়ে কিছুটা বিব্রত বাগান মালিকরা।
সামনেই উঁকি দিচ্ছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। এরই মধ্যে রাজশাহীর বাগানগুলো জুড়ে ছড়াচ্ছে আমের সুস্বাদু ঘ্রাণ। এবার মুকুল, গুটি ও পুষ্ট তিন ধাপের প্রতিটিতেই আম পেয়েছে পানি ও উপযুক্ত তাপমাত্রা। তাতে গাছে এখন থোকে থোকে পরিপুষ্ট আম। ১৫ মে থেকে বাগানের এসব আম নামানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১২ মে) কৃষিবিদ, ফল গবেষক, আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের সমন্বিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এস.এম. আব্দুল কাদের বলেন, কোন চাষি নিজে থেকে আম পাড়ার চেষ্টা করবেন না। নির্ধারিত সময়ের আগে যদি গাছের আম পেকে যায় তবে লিখিত আবেদন সাপেক্ষে যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এতে আগামী ১৫ ও ২৫ মে নামানো যাবে সকল প্রকার গুটি ও গোপালভোগ আম। তাই রমজানেই গাছপাকা ও কেমিকেল মুক্ত আমের আশায় খুশি ক্রেতা ও ভোক্তারা।
এরপর বাকি পাঁচ ধাপে নামানো হবে সব আম।
প্রথম ধাপে ২৫ মে আম নামবে - রানী পছন্দ, লক্ষণ ভোগ। দ্বিতীয় ধাপে ২৮ মে আম নামবে- খিরসাপাতি, হিমসাগর। তৃতীয় ধাপে ৬ জুন আম নামবে- ল্যাংড়া। চতুর্থ ধাপে ১৬ জুন আম নামবে- আমরুপালি, ফজলি ও সুরমা ফজলির সকল জাত। পঞ্চম ধাপে ১ জুলাই নামবে- আশ্বিনা আম।
তবে বাগান মালিকদের দাবি, বাগানে প্রথম আম পাকার পর নির্ধারিত তারিখের আগেই বাকি আম পাকবে। তাতে গাছেই আম নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় তারা।রাজশাহীর আম পেতে নির্ধারিত সময় ও নিয়ম মেনেই আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ফল গবেষক।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন, নির্ধারিত সময়ের আগে কোন আম পাওয়ার কথা চিন্তা করলে অসৎ ব্যবসায়ীরা তার সুযোগ নিতে পারে।
জেলা প্রশাসন বলছে, তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় গেল বছরের চেয়ে ৫ দিন এগিয়ে নেয়া হয়েছে আম নামানোর সময়। কৃষি বিভাগ জানায়, এতে জেলার ২ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা।