
ফাইল ছবি
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় ভ্যানচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার কুশা ইউনিয়নের ঘনিরাম পুরের নগেন চন্দ্রের ছেলে রুপলাল দাস (৪৫) ও তার ভাগনি জামাই মিঠাপুকুর উপজেলার ছরান বালুয়াচর গ্রামের মনি লালের ছেলে প্রদীপ দাস (৫০)। রুপলাল দাস জুতা সেলাইয়ের কাজ করতেন। আর প্রদীপ দাস ভ্যান চালাতেন।
নিহতদের পরিবার, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক ছেলের সঙ্গে রুপলালের মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। রোববার বিয়ের দিন–তারিখ ঠিক করার কথা ছিল। এই কারণে মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে রুপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন প্রদীপ দাস। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ সয়ার ইউনিয়নের কাজীরহাট এলাকায় এসে রুপলালকে ফোন করেন। রুপলাল সেখানে যান। পরে তারা দুজনে ভ্যানে চড়ে রুপলালের বাড়ি ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যানচোর সন্দেহে তাদের দুজনকে স্থানীয় কয়েকজন থামান। এরপর আস্তে আস্তে সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। এরপর তাদের গণপিটুনি দেয়।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’