Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

শ্রাবণ ২৭ ১৪৩২, মঙ্গলবার ১২ আগস্ট ২০২৫

শাস্ত্রীয় সংগীতের পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১২ আগস্ট ২০২৫

প্রিন্ট:

শাস্ত্রীয় সংগীতের পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই

ফাইল ছবি

উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার  সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকার নিজ বাসভবন ‘মোহিনী গার্ডেন’-এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

অমরেশ রায় চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজশাহীর পঞ্চবটি শ্মশানে তাঁর দাহ সম্পন্ন হয়।

১৯২৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার চৌদ্দরশি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় মা রাজলক্ষ্মী রায় চৌধুরীর উৎসাহে উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার সুধীর লাল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর সংগীতের হাতে-খড়ি হয়।

গুরু সুধীর লালের মৃত্যুর পর তিনি সিরাজগঞ্জের উচ্চাঙ্গ সংগীতবিদ হরিহর শুক্লার কাছে কয়েক বছর তালিম নেন। পরবর্তীতে ফরিদপুরের কোটালীপাড়ার সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর কাছে ধ্রুপদ, খেয়াল ও ঠুমরীতে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নেন। পাশাপাশি ময়মনসিংহের নেত্রকোনার শিল্পী ও সুরকার নিখিলচন্দ্র সেনের কাছে আধুনিক গান, অতুলপ্রসাদ, রাগপ্রধান, নজরুলসংগীত ও শ্যামাসঙ্গীত শেখেন। পরে সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর পুত্র, প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মানস চক্রবর্তীর কাছেও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন।

১৯৪৫ সালে বাইশরশি শিবসুন্দরী একাডেমি থেকে ম্যাট্রিক পাসের পর উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গীতচর্চা চালিয়ে যান অমরেশ রায় চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই রাগসংগীতের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল।

১৯৬১ সাল থেকে তিনি রাজশাহীর রানীবাজার এলাকায় ‘মোহিনী নিকেতন’-এ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক এবং ২০১৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables