
ছবি: বহুমাত্রিক.কম
কিশোরগঞ্জে ২৫ দিন পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত লাশ উদ্ধার করলো পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে জেলার সরকারি গুরুদয়াল কলেজ ওয়াচটাওয়ার সংলগ্ন নরসুন্দা নদী থেকে মোখলেছ উদ্দিন ভূইয়া (২৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মোখলেছ জেলার মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। মোখলেছ কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টে চুক্তিভিত্তিক পেশকারের সহকারীর কাজ করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ রাতে নিহত মোখলেছ নিখোঁজ হন। ১ এপ্রিল মোখলেছেরপরিবার কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে পুলিশ নিখোঁজ মোখলেছকে খুঁজতে থাকেন। ১৬ এপ্রিল নিহতের স্বজনেরা একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরে পর থেকে টানা ৬ দিন অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত মামলার এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর দেয়া তথ্যমতে সোমবার ও মঙ্গলবারঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দু'দিন অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পরে আজ বিকালে লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
নিহত মোখলেছ উদ্দিন ভূঁইয়ার বড় ভাই আশরাফ আলী জানান, ৩ মাস ধরে মোখলেছ কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া বউ বাজার এলাকার চুন্নু মিয়ার বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। গত ২৯ মার্চ ভাড়া বাসা থেকে আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে নিঁখোজ হয়। তার সর্বশেষ অবস্থান রাস্তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত হয়। এই সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে তার সাথে কয়েকজনকে দেখা যায়। তার ধারণা ওরাই তাকে অপহরণ করে মেরে ফেলেছে। সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ মিঠামইনের কেওয়ারজুর ইউনিয়ন ফুলপুর গ্রামের শেফুল শেখ (৬৫) তার তিন ছেলে মিজান শেখ (২৮), মারজান শেখ (২৬) ও রায়হান শেখ(২১)কে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গত শনিবারবেলা ১১ টার দিকে ডিবি ও পুলিশের একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মোখলেছকে হত্যা করে মরদেহ নরসুন্দা নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে জানায়।
এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্থ করেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।