
ছবি: বহুমাত্রিক.কম
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেছেন, প্রতিবন্ধীদের মান উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা হিসেবে না নিয়ে তাদেরকে কিভাবে কর্মক্ষম করা যায়, তাদেরকে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, এজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রী বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট মৈত্রি শিল্পের নবনির্মিত মূল গেইট সংশপ্তক, নতুন গভীর নলকূপ এবং মৈত্রি চেয়ার ও ঝুরি উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডঃ আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন খান, জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের নির্বাহী পরিচালক নুরুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য মৈত্রি শিল্পের মত প্রতিষ্ঠান সারা দেশে বৃদ্ধি করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের আবাসন, চিকিৎসা, তাদের প্রশিক্ষন, তাদের এমপ্লয়মেন্ট এসব করার প্রতিষ্ঠান বিভাগীয় পর্যায়ে করা হবে। এজন্য পরিকল্পনা চুড়ান্ত করা হয়েছে । প্রতিবন্ধী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন। তিনি বলেন, মানুষের সেবা এবং সৃষ্টির সেবা করার মধ্যেই রয়েছে শ্রষ্টার সন্তুষ্টি । মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে যে কল্যান লাভ করা যায়, সেই সেবায় আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আসুন আমরা সবাই মানুষের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করি।
তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সব পর্যায়ে অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে পৌছে দিচ্ছেন, এ দেশের ১৭ কোটি মানুষ যখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল, তখন যারা দেশ শাসনে ব্যর্থ হয়েছিল, যারা খাম্বা বাণিজ্য করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্নসাত করে লন্ডনে গিয়ে বসবাস করছে, তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদেরকে দিয়ে কি দেশ চলবে? চলতে পারে ? কখনো না । যারা দেশের মানুষের সম্পদ লুট করে দেশকে অকার্যকর করেছে, যারা দেশকে পাঁচবার দূনীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তাদের ব্যাপারে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুন্ঠিত করা হয়েছিল। এ দেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করা হয়েির্ছল। কিন্ত তাদের সেই স্বপ্ন, তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন।
তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার সমস্ত কর্মকান্ডকে আবার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা যদি না আসতেন, তাহলে তার এ স্বপ্ন কেউ পূরন করতে আসত না। তাই আগামী দিনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করতে তাকে নির্বাচিত করতে হবে। এর আগে মন্ত্রী মৈত্রি শিল্পের বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ও প্রতিবন্ধীদের এ সংক্রান্ত কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।