
ফাইল ছবি
ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায় আলিম পরীক্ষাকেন্দ্রে জন্ম নেয়া এক নবজাতক কণ্যা শিশু অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকের মৃত্যু হয়। নবজাতকের বাবা এমদাদুল হক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নান্দাইল উপজেলার ঘোষপালা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে সুইটি আক্তার নামে এক আলিম পরীক্ষার্থী কন্যাসন্তান প্রসব করেন। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের মো. ইমদাদুল হকের স্ত্রী। তিনি উপজেলার নিবিয়াঘাটা মাদরাসার শিক্ষার্থী।
সুইটি আক্তারের স্বামী এমদাদুল হক বলেন, আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় প্রতিদিন আমিই তাকে পরীক্ষার হলে নিয়ে আসি। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় সবসময় একটা ভয় কাজ করত। আজ সেই ভয় বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আমার সন্তান মারা গেলো, তবে স্ত্রী সুস্থ আছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক রাখা প্রয়োজন। আজ যদি পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো চিকিৎসক থাকতেন তাহলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটতো না।
ঘোষপালা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের সচিব আবুল হাসান মো. এনামুল হক বলেন, সুইটি আক্তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষা চলাকালে তিনি প্রসব ব্যথার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলেন। তবে কক্ষ থেকে বেরিয়ে বারান্দায় তিনি সন্তান প্রসব করেন।
তিনি আরও বলেন, এসময় নিরাপত্তার জন্য সবাইকে যার যার অবস্থানে থাকার অনুরোধ করা হয়। বলা হয়, কেউ যেন হলের বারান্দায় বের না হন। এ অবস্থায় সুইটির স্বামীকে খবর পাঠালে তিনি দ্রুত কেন্দ্রে এসে নবজাতকসহ স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুর রশিদ বলেন, ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে সন্তান প্রসবের পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তবে নবজাতকের ওজন কম হওয়ায় দুইজনকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।