Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

শ্রাবণ ৩ ১৪৩২, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫

আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা: ককপিট রেকর্ডিংয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ১৮ জুলাই ২০২৫

প্রিন্ট:

আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা: ককপিট রেকর্ডিংয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্

ফাইল ছবি

আহমেদাবাদে  গত ১২ জুন ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। সর্বশেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিংয়ের তথ্য যেন এক নতুন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল, ইচ্ছাকৃতভাবে কি ইঞ্জিনের ফুয়েল কেটে দিয়েছিলেন পাইলট? যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টেকঅফের কিছুক্ষণ পর সহ-পাইলট ককপিটে ক্যাপ্টেনকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন ফুয়েল সুইচ বন্ধ করলেন?’ এবং তাকে তা আবার চালু করতে বলেন। জবাবে অন্য পাইলট বলেন, ‘তিনি সেটা করেননি।’

তবে কে জ্বালানির সুইচ ঘুরিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো ভিডিও প্রমাণ নেই। কেবলমাত্র ভয়েস রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাপ্টেনই সুইচ ‘কাট-অফ’ অবস্থানে এনেছিলেন।

ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। তদন্ত এখনো চলছে, এখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়।’

এএআইবি’র প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই ইঞ্জিনের ফুয়েল সুইচ টেকঅফের এক সেকেন্ড ব্যবধানে ‘রান’ থেকে ‘কাট-অফ’ অবস্থায় চলে যায়। এরপরই বিমানের ‘র‌্যাম এয়ার টারবাইন’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বের হয়ে আসে, যা ইঞ্জিন শক্তি হারানোর ইঙ্গিত দেয়।

এতে বিমানটি ৬৫০ ফুট উচ্চতায় উঠে কিছু সময় পর নিচে নামতে শুরু করে। ইঞ্জিন পুনরায় চালু করার চেষ্টায় ফুয়েল সুইচ ‘রান’ অবস্থায় ফেরানো হলেও বিমানটি তখন অনেক নিচু ও ধীরগতির হয়ে পড়ে।

বিমানটি কিছু গাছ ও একটি চিমনি ছুঁয়ে মেডিকেল কলেজ ভবনে আছড়ে পড়ে। এতে বিমানের ২৪২ যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জন এবং নিচে থাকা ১৯ জন প্রাণ হারান।

এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন এক অভ্যন্তরীণ বার্তায় বলেন, ‘বিমানটিতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা রক্ষণাবেক্ষণজনিত গাফিলতি পাওয়া যায়নি।’ বিশ্বের গত এক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।