
ঢাকা : বিশ্বের নানা দেশ যখন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মরিয়া হয়ে লড়ছে তখন উহান শহরের ওপর থেকে লকডাউন তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। মঙ্গলবার চীনা কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ৮ই এপ্রিল উহান শহর থেকে আংশিকভাবে লকডাউন উঠে যাবে।
গত ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এই উহান শহর থেকেই গোটা চীনে ছড়িয়ে পড়েছিলো ভয়াবহ করোনাভাইরাস মহামারি। পরে তা গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, বিশ্বের ৪ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আরও সাড়ে ১৮ হাজার মানুষ।
গোটা বিশ্ববাসী যখন করোনা আতঙ্কে ভুগছে তখন উহানের মানুষ করোনামুক্ত হওয়ার আনেন্দে দিন কয়েক আগে আতশবাড়ি পুড়িয়ে উৎসব করেছে।
চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হুবেই প্রদেশের সুস্থ বাসিন্দাদের চলাফেরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা আগামী মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এই প্রদেশেরই রাজধানী উহান।গত এক সপ্তাহ ধরে উহানে নতুন কোনও করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি। তবে গত মঙ্গলবার এক ব্যক্তির দেহে নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশেই চীনের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যেহেতু করোনার কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, তাই মানুষের সামাজিক যোগাযোগ বন্ধ করতে লকডাউনই বর্তমানে একমাত্র উত্তম উপায়।
এই লকডাউন বিশ্বে প্রথম চালু করা হয়েছিল উহানে, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে। উহান শহরটিকে চীনের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এই ব্যবস্থা নিয়েছিল চীন কর্তৃপক্ষ। তখন অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলো এ নিয়ে চীনের তীব্র সমালোচনা করেছিল। কিন্তু এখন তারা চীনের দেখানো পথেই হাঁটছে।
মঙ্গলবার চীনা কর্মকর্তারা জানান, যাদের ফোনের অ্যাপে বিশেষভাবে ইস্যু করা সবুজ কোড রয়েছে, তারা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে উহান ত্যাগ করতে পারবেন।
সরকারি হিসেব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রায় ৮০ জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে।
কিন্তু এদের মধ্যে ৭৬ জনই সংক্রমিত হয়েছেন ‘বিদেশ থেকে আসা’ ব্যক্তিদের মাধ্যমে।
তাই চীন নিজেকে একটি ‘করোনা-উত্তর’দেশ হিসেবেই বিবেচনা করে থাকে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা