ঢাকা : ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে ‘রাম রাজ্য’ প্রতিষ্ঠা হবেই। শনিবার দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন দেশটির উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই সঙ্গে পরিষ্কার দিতে চাইলেন যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে।
অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমিতে শ্রী রামচন্দ্রের মন্দির গড়ার পক্ষে এর আগেও একাধিকবার সওয়াল করেছেন যোগী। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি এ বিষয়ে সুর চড়িয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। ভিএচপি ঘোষণা করেছিল, ২০১৮-এর মধ্যেই রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে। এর জন্য একটি ‘অ্যাকশন প্লান’ বানানো হচ্ছে। তবে কি সত্যিই তেমনটাই বাস্তবায়িত হতে চলেছে?
যোগীর গুরু মহন্ত অবৈদ্যনাথ রাম মন্দির তৈরির লড়াইয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁর স্বপ্নই এবার পূরণ করার ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগী বলছেন, ২০২২ সালের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র, নৈরাজ্য, কলুষতা দূর করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতেই ‘রাম রাজ্য’ প্রতিষ্ঠানের ইঙ্গিত মেলে। আর সেই পথেই একটু একটু করে কাজ এগোচ্ছে বলেও পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
সম্প্রতি তাজমহল নিয়ে বিতর্কের ঝড় থামাতে গেরুয়া শিবিরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগ্রা গিয়েছিলেন আদিত্যনাথ। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য তাজমহলকে রাজ্যের দ্রষ্টব্য স্থানের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে প্রথম বিতর্কটা তৈরি করেছিল যোগী সরকারের পর্যটন দপ্তরই। আর সেই বিতর্কই চরমে পৌঁছয়, যখন তাজমহলকে ভারতীয় সংস্কৃতির কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোম।
বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গোটা দেশে। বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। সরকারের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সুর নরম করেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। আগ্রা সফরের পর পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে শনিবার তিনি জানান, অযোধ্যা থেকে আগ্রা, পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সবস্থানকেই ঢেলে সাজানো হবে। অযোধ্যায় যে কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন