Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শনিবার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০১, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬

আপডেট: ২৩:৩৫, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬

প্রিন্ট:

শনিবার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী

ঢাকা : শনিবার ১০ ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিজয়ের উষালগ্নের মাত্র ৬ দিন আগে ১৯৭১ এর এই দিনে খুলনার রূপসা নদীতে রণতরী পলাশে যুদ্ধরত অবস্থায় পাক হানাদার বাহিনীর জঙ্গী বিমানের গোলার আঘাতে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।

তিনি ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাগপাঁচড়া (বর্তমান রুহুল আমিন নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে রুহুল আমিন তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর অধীনে পিএনএসআরএ-১ এর ইঞ্জিন অফিসার হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন।

তিনি ৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে খুলনায় পাক হানাদার বাহিনীর নৌঘাটি তিতুমীর দখলের জন্য মুক্তি বাহিনীর রণতরী ‘পলাশ’, ‘পদ্মা’ এবং ভারতীয় রণতরী ‘পারভেন’ নিয়ে বীরত্বের সাথে ‘হিরণ পয়েন্টে’ প্রবেশ করেন।

১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় কোন প্রকার বাধা ছাড়া রণতরীগুলো মংলা বন্দরের কাছাকাছি পৌঁছলে হঠাৎ করে পাক হানাদার বাহিনীর জঙ্গী বিমান থেকে রণতরীগুলোর ওপর বোমা বর্ষণ শুরু হয়। এ সময় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন রণতরী ‘পলাশ’ এর ইঞ্জিন পরিচালনা করছিলেন।

শত্রুর গোলার আঘাতে রণতরী পলাশের ইঞ্জিন রুম এবং রণতরীতে রক্ষিত গোলা বারুদে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে নদীতে ঝাপ দেন।

নদী থেকে সাতরে তীরে উঠার সময় স্থানীয় রাজাকাররা নির্মমভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনকে হত্যা করে।

পরে খুলনায় রূপসার বাগমারা গ্রামের মুক্তিকামী আবদুল গাফফার স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় পূর্ব রূপসার চরে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনকে দাফন করেন।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer