ফাইল ছবি
ঢাকা : গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে অনেকে পোস্ট বা কমেন্ট দিয়ে তীব্র ক্ষোভ আর প্রতিবাদ করছেন একটি ভিডিওতে এক তরুনের দেয়া বক্তব্যের। প্রায় ১২ মিনিটের ওই ভিডিও ইউটিউবে দিয়েছেন সাব্বির নামের এক তরুণ।
ইউটিউবে পাওয়া ভিডিওটির নীচে এর স্ক্রিপ্ট লেখক ও পরিচালক হিসেবে হায়াত মাহমুদ রাহাতের নাম উল্লেখ রয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায় যে ছেলে ও মেয়েদের ধূমপান নিয়ে একের পর এক বক্তব্য দিয়েছেন সাব্বির যা অনেকের কাছেই আপত্তিকর ও বিপজ্জনক উস্কানি বলে মনে হয়েছে।
যেমন মানুষের সমাগমের জায়গা বা পাবলিক প্লেসে তার নিজের ছেলে বন্ধুরা ধূমপান করলে সেটায় তার সমস্যা হয়না, সমস্যা হয় মেয়েরা ধূমপান করলে।
ভিডিওতে তার ডায়ালগটি এমন- "তোরা ছেলে মানুষ। তোরা এ জায়গায় স্মোক করলে এ জায়গার এনভায়রনমেন্ট চেঞ্জ হচ্ছেনা। কিন্তু একটা মেয়েমানুষ যখন এভাবে পাবলিকলি স্মোক করছে এ জায়গার পুরো এনভায়রনমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে"।
ধূমপান নিয়ে তার আরেকটি যুক্তি হলো, "একটা ছেলের সবার সামনে সিগারেট খাওয়া নরমাল কিন্তু একটা মেয়ের জন্য নরমাল না"।
তবে সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো ভিডিওর এক পর্যায়ে তিনি গোপনে মেয়েদের ছবি তুলে সেটি ফেসবুকে আপলোড করে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন সবাইকে।
ফেসবুকে এ ভিডিও নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই। তানিয়া কামরুন নাহার নামে একজন এ বিষয়ে একটি পোস্টে তার মন্তব্যে লিখেছেন "মূর্খ ও সাইকোপ্যাথ"।
অনিক খান নামে একজন লিখেছেন, "আমার এই ভিডিও দেখে প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়েছে! এন্টি-পাবলিক স্মোকিং একটা স্ট্যান্ড নিলেও কথা ছিল"!
সায়েদ খালেদের মন্তব্য, "একটা ফালতু ভিডিও ছাড়া আর কিছু দেখি না ওটাতে"। অপরাজিতা সঙ্গীতা লিখেছেন, " আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোন বিকল্প নেই"।
রুবা চৌধুরী মন্তব্য, " রাস্তায় চলতে ফিরতে অশিক্ষিত কিছু মানুষ মাঝে মাঝে এমন খুব তত্ত্ব ঝাড়ে তখন তাদের সবাই পাগলা কি না কয় ভাব কইরা অদেখা করে এবং আমারেও বলে বাদ দেন আফা। সেই ছাগলের মতো মানুষগুলা এখন ইউটিউব চালাইতে পারে!!!
আহসানুল কবির ডালিম লিখেছেন, "ফাত্রারে আইনত শাস্তি দেয়ার উপাই কেউ জানেন"? এম রবিউল ইসলাম লিখেছেন তিনি ভিডিওটি দেখেই রিপোর্ট করেছেন।
এভাবে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে গোপনে মেয়েদের ছবি ভিডিও করার উস্কানি দেয়ায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন।-বিবিসি বাংলা