গাজীপুর : অগ্রযাত্রার ১৮ বছর এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ নানা আয়োজন ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উদযাপন করলো ১৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে আনন্দমুখর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরের সম্মুখে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন মিঞা এবং পরিচালক ছাত্রকল্যাণ প্রফেসর ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনন্দ শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়াম চত্বরে এসে শেষ হয়। এখানে আনন্দ মেলা ও প্রদর্শনী স্টল শুভ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল মান্নান এমপি।
বেলা সাড়ে ১১টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করা হয়। পরে বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘কথামালা : বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ও অগ্রগতির ১৮ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল মান্নান এমপি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রলালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহ্বুবর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ, সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়া, ডিনবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও বহিরাঙ্গন কার্যক্রম যথাযথভাবে গ্রহণ করে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মরতদের প্রতি আহবান জানান এবং সরকারের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করেন।
বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিকালে সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় এবং ডিবেট, ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শেষ হয়।