ঢাকা :সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, সঙ্গত কারণেই মহাস্থানগড় সার্ক সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে এখানে। একারণে নিজ গুণ ও ঐতিহাসিক শক্তিতে মহাস্থানগড় সার্ক কালচারাল রাজধানী নির্বাচিত হয়েছে।
বগুড়ার মহাস্থানগড়কে সার্ক কালচারাল ক্যাপিটাল ঘোষণা করায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় এসম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বগুড়া সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বগুড়ার জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম আকতারী মমতাজ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন। প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্য চিত্র তুলে ধারেন প্রত্নতত্ব রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, কিছুদিন আগেও এদেশে বিদেশী পর্যটকদের আসায় কিছুটা দ্বিধা ছিলো, কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানগ্রহণ এবং প্রশাসনের কঠিন পদক্ষেপ ও দেশের মানুষ জঙ্গিবাদকে প্রত্যাখ্যান করায় এখন বিদেশীরা এদেশে আসতে আগ্রহী হয়েছেন।
তিনি বলেন, এদেশে বছরে যতো পর্যটক আসেন তার শতকরা ৭০ থেকে ৮০ভাগ আসেন এদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে। বছর ব্যাপী অনুষ্ঠানে এখানে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আগাম ঘটবে। ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে তাদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা গেলে আগামীতে আরও বেশি পর্যটক আসবেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী মহাস্থানে এসে সার্ক কালচারাল ক্যাপিটালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। ওইসময় সার্কভূক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বছরজুড়ে দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। একারণেই আগামী বছরটি
মহাস্থানগড়কে এবং এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য একটি সম্ভবনার বছর। তিনি এসব অনুষ্ঠান আয়োজনে সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করেন।