Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

দুই যুদ্ধাপরাধীর প্রাণদণ্ডের রায়ে প্রসিকিউটর সন্তুষ্ট

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

আপডেট: ০২:১৯, ২০ এপ্রিল ২০১৭

প্রিন্ট:

দুই যুদ্ধাপরাধীর প্রাণদণ্ডের রায়ে প্রসিকিউটর সন্তুষ্ট

ঢাকা : একাত্তরে কিশোরগঞ্জ এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে তখনকার রাজাকার বাহিনীর সদস্য মোসলেম প্রধান ও পলাতক সৈয়দ মো. হুসাইনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজ বুধবার সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি।

সফলভাবে কাজ করতে পেরেছি। দুটো মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, একটি আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অপর তিনটি অভিযোগে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে।

একটি দিক দিয়ে এ মামলায় অসাধারণ সাফল্য এসেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই রায়ে প্রথমবারের মতো যুদ্ধকালীন ধর্ষণকে গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। একাত্তরের গণধর্ষণকে আদালত জেনোসাইডাল রেপ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, ওই চার্জে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষর আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ট্রাইব্যুনাল ও আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। মক্কেলের সঙ্গে পরামর্শ করে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা ছয় অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আসামিদের সাজা কার্যকর করতে হবে।

সেই সঙ্গে পলাতক মো. হুসাইনকে গ্রেপ্তার করে সাজা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলায় রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা যায়। তবে পলাতক সৈয়দ মো. হুসাইনকে সে সুযোগ নিতে হলে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ২৮টি মামলার ৪৮ আসামির মধ্যে মোট ৩০ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার আদেশ হলো।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer