সিবিএনএ, কানাডা থেকে: বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, মন্ট্রিয়ল প্রবাসী তাজুল মোহাম্মদ এ বছর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণার জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্তি উপলক্ষে টরন্টোতে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর নগরীর মিজান অডিটোরিয়ামে প্রদত্ত এ নাগরিক সংবর্ধনায় কমিউনিটির গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গসহ কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের ঢল নামে। এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. করুণাময় গোস্বামী ও গোপেশ মালাকার।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাজুল মোহাম্মদ বলেন, পুরস্কার পাওয়ার জন্য নয়, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছি প্রাণের তাগিদে। এই সংবর্ধনা আমার দায়বদ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, এক বৈরি পরিবেশে তখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহ করতে হয়েছিল। বহু জায়গায় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হুমকির সম্মুখীনও হতে হয়েছে।`
সভাপতির বক্তবে ড. বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেন, যতদিন তাজুল মোহাম্মদের মত অকুতোভয় লেখক ও গবেষক থাকবেন, ততদিন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের কোথাও জায়গা হবে না। তারা কেবল এক শহর থেকে আরেক শহরে পালিয়ে বেড়াবে। তিনি বলেন, আমাদের আরও তাজুল মোহাম্মদ প্রয়োজন যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরবে।
অনুষ্ঠানে তাজুল মোহাম্মদকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নাট্যকার আহমেদ হোসন, লেখক শান্তনু কায়সার, লেখক আকতার হোসেন, কথাশিল্পী ফরিদা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক একরামুল্লাহ চৌধূরী, চলচ্চিত্র নির্মাতা এনায়েত করিম বাবুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক আমিন মিয়া, কানাডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স, সংস্কৃতিকর্মী জামানা হাসিনা, লেখক সালমা বাণী, বিশিষ্ট সংগঠক বিদ্যুৎ রঞ্জন দে, লেখক সুব্রত কুমার দাস, কবি তুষার গায়েন, সাবেক ছাত্রনেতা নাসিরুদ্দোজা, সংস্কৃতিকর্মী দিলারা নাহার বাবু, আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরি ও নজরুল মিন্টো।
তাজুল মোহাম্মদকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ফারহানা শান্তা ও মনির হোসেন। অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা, গ্রন্থনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন কবি দেলওয়ার এলাহী।
বহুমাত্রিক.কম