Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জলাবদ্ধ মনিরামপুরে বোরো চাষের লক্ষ্য ৩২ হাজার হেক্টর

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০১:৩৮, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

জলাবদ্ধ মনিরামপুরে বোরো চাষের লক্ষ্য ৩২ হাজার হেক্টর

ছবি: বহুমাত্রিক.কম

যশোর : জলাবদ্ধ মণিরামপুরে বোরো চাষে এখন ব্যস্ত কৃষকেরা। উপজেলা জুড়ে এখন মাঠ প্রস্তুতসহ ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এবার মণিরামপুরে ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।

পরপর দুই দফায় টানা বর্ষণে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমন চাষের ব্যাপক ক্ষতি হলেও তা এই মৌসুমে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন চাষিরা। তবে এখনো জলাবদ্ধ থাকায় ২০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
যদিও কৃষি অফিস বলছে, যেহেতু হাতে সময় আছে ততদিনে পানি সরে গেলে ওই জমিতেও বোরো চাষ হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র মতে, এবারের বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার ৩২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে; যা গত বছর ছিল ২৯ হাজার ৮৭৫ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবার তিন হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের মণিরামপুরে বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ব্রি-২৮, ৮-১০ হাজার হেক্টর জমিতে মিনিকেট ও ৫-৬ হাজার হেক্টর জমিতে ব্রি-৫০ জাতের ধানের চাষ হচ্ছে। এছাড়া স্বল্প পরিসরে ব্রি-৬৩ জাতের সম্পূর্ণ নতুন ধানের চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

গত আমনের মৌসুমে দুই দফা টানা বর্ষণে মণিরামপুরের ১৩টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন উপজেলার কুলটিয়া, হরিদাসকাটি, নেহালপুর, মনোহরপুর, ঢাকুরিয়া ও শ্যামকুড়ের চাষিরা। তবে দেরিতে হলেও পানি সরে যাওয়ায় এসব এলাকায় চাষিরা বোরো চাষ শুরু করেছেন; যা চলবে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র মতে, জলাবদ্ধ এলাকাগুলোর মধ্যে ঢাকুরিয়ায় এবার দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা গত বছর ছিল এক হাজার ৭৬০ হেক্টর, হরিদাসকাটিতে লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার ৯০৫ হেক্টর; যা গত বছর ছিল এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, শ্যামকুড়ে দুই হাজার হেক্টর; যা গত বছর ছিল এক হাজার ৮৬৩ হেক্টর, কুলটিয়ায় দুই হাজার ৫০০ হেক্টর; যা গত বছর ছিল দুই হাজার ৩৩৬ হেক্টর, নেহালপুরে এক হাজার ১৮০ হেক্টর; যা গত বছর ছিল এক হাজার ৩০ হেক্টর এবং মনোহরপুরে এক হাজার ৬৫০ হেক্টর; যা গত বছর ছিল এক হাজার ৫০০ হেক্টর। এসব এলাকার মধ্যে কুলটিয়া ও মনোহরপুর এলাকায় কিছু জমি এখনো পানিতে তলিয়ে থাকায় ওই এলাকার প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের সম্ভবনা কম বলে জানা গেছে।

মনোহরপুর এলাকার ধান চাষি আব্দুল হালিম জানান, এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা এখন নেই। তিনি এবার দেড় একর জমিতে বোরো চাষ করছেন।

হরিদাসকাটি ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া এলাকার কৃষক নিতাই মল্লিক জানান, এলাকায় বৃষ্টির পানি সরে গেছে। এখন ধান চাষে কোনো সমস্যা নেই। এবার তিনি এক একর জমিতে ধান চাষ করছেন।

মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্তকুমার তরফদার জানান, এবার উপজেলায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কৃষকদের বীজ, সার ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে একেবারেই নতুন জাতের উন্নতমানের উচ্চ ফলনশীল ব্রি ৬৩ ধানের চাষ হচ্ছে।

আগামীতে এই জাতের চাষ বাড়বে বলে আশা করেন কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত তরফদার।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer