সেদিন রাতটা ছিল ফুরফুরে হাওয়ার।
সেই কোন বেলা থেকে দখিনা বাতায়নে
অবাধ আনাগোনা ছিল জোনাকি, চাঁদের জোছনার।
‘তুমি আসবে’- এই কথাটিই গুঞ্জরিত মনে।
মধুকর যেভাবে বিচরণা ফুলবন ও মৌচাকে
আমার অশান্ত হৃদয় তেমনি তোমার বাড়ির পথে
ঝিঁঝিঁপোকা সুর তুলেছিল বাঁশবনের ফাঁকে
খেকশিঁয়ালী ডুকরে উঠেছিল লক্ষ্মী পেঁচাদের সাথে।
শঙ্খচিল ডানা ঝেরে বসে নিশ্চুপ ঝাউয়ের ডালে
চোখে আমার দেদীপ্যমান বাল্য কৈশোর ঘুড়ি ওড়ানোর দিন
মেঠো ইঁদুরের কিচিরমিচির তুমি আসবে বলে
তোমার সুঢৌল চিক্কন হাত দিগন্তে বিলীন।
আজো চাঁদ জোছনা ঢালে কুয়াশার শারদ রাতে
ঝিরিঝিরি হাওয়া নাচে দখিনা বাতায়নে
ঘাসফড়িঙের সরু লেজ আর চড়ুইপাখির পালক হাতে
আমি বিছানায় প্রহর গুনি একাকী উদাস সঙ্গোপনে।
বহুমাত্রিক.কম