দেশবরেণ্য সংগীত পরিচালক ও সুরকার আলাউদ্দিন আলী মারা গেছেন। রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
অসুস্থ হয়ে শনিবার থেকে তিনি রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। হঠাৎ করেই শনিবার ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রোববার তার শারীরিক অবস্থা বেশ গুরতর বলে জানিয়েছিলেন আলাউদ্দিন আলীর সহধর্মিণী মিমি আলাউদ্দিন।
বরেণ্য সুরকার আলাউদ্দিন আলী ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৫ সালে ৩ জুলাই তাকে ব্যাংকক নেয়া হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তার ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। এরপর তার ক্যান্সারও ধরা পড়ে। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই আলাউদ্দিন আলীর অবস্থা বেশ স্থিতিশীল ছিল।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৫২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জাবেদ আলী ও মাতার নাম জোহরা খাতুন।
আলাউদ্দিন তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজ সহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তিনি একাধারে সুরকার, বেহালাবাদক, সঙ্গীতজ্ঞ, গীতিকার এবং সঙ্গীত পরিচালক।
১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন আলাউদ্দিন আলী। তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০), কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।