বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের শুরু থেকে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সারা বিশ্বে একশোটিরও বেশি করোনা প্রতিষেধক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তার মধ্যে অন্তত ১২টি প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে হতাশার খবর দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্পেশাল এনভয় ড. ডেভিড নাবারো জানান, করোনা ভাইরাসে কাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন হাতে পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো অত্যন্ত আড়াই বছর। এছাড়া আপাতত করোনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তির কোনো উপায় নেই। যদি কেউ এমনটা দাবি করেন, তাহলে তার প্রমাণ দরকার বলে মনে করেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার পর কেউ করোনা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ হচ্ছে কিনা, তা বুঝতে সময় লাগবে। এছাড়া বিশ্বের প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গরিব দেশ হোক বা ধনী দেশ, প্রত্যেকে যাতে ভ্যাকসিন পায়, সে বিষয়টাও নিশ্চিত করতে হবে।
কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষে জানানো হয়, তাদের আশা, করোনাভাইরাসের কয়েক লক্ষ ভ্যাকসিন তৈরি হবে চলতি বছরেই। আর পরের বছর শেষ হওয়ার আগেই তৈরি হবে ভ্যাকসিন ২০০ কোটি ডোজ।ভ্যাকসিন কাদের প্রথমে দেয়া হবে, সেই পরিকল্পনা তৈরি করার কাজও শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে দেয়া হবে ভ্যাকসিন। এছাড়া যাদের বয়স বেশি ও অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত, তাদেরও দেয়া হবে প্রথম পর্যায়ে। এছাড়া জেল বা হোম, যেখানে বহু মানুষ একসঙ্গে থাকেন, তাদেরও দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
যদিও এর আগে গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ফিজার জানিয়েছিল, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষেই করোনা প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে।