ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে। ভয়ঙ্কর এই জঙ্গি হামলাতে এখনও পর্যন্ত ৪০জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। বিশ্বের সমস্ত দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্রমশ চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের উপর। এরই মধ্যে বদলা নেওয়ার জন্যে ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
এমনকি, বদলা যে নেওয়া হবে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে রাজনাথ সিং সবাই। ফলে এই হুঁশিয়ারিতে কার্যত ভীত পাকিস্তান। প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায়ম ভুগছে তারা। আর সেই আশঙ্কা থেকেই সীমান্তে রণসজ্জা সাজাচ্ছে ইসলামাবাদ।
হিন্দিতে প্রকাশিত এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নাকি রণসজ্জা সাজাচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্ত এলাকায় ৬০০ ট্যাংক মোতায়েন করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এমনটাই ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমস্ত উচ্চপদস্থ অফিসারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সীমান্ত এলাকাতেও পাকিস্তান রেঞ্জার্সকে হাই-অ্যালার্টে থাকতে বলা হয়েছে বলে ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে প্রকাশিত ওই খবরে আরও বলা হয়েছে যে, ভারত পাকিস্তান সীমান্তে যে ট্যাংক পাকিস্তান সেনা মোতায়েন করেছে সেগুলি খুবই অত্যাধুনিক। সীমান্তের ওপার থেকে ছোঁড়া গোলা-বারুদ সীমান্তের এপারে ৩ থেকে ৪ কিমি পর্যন্ত আসতে পারে। এমনকি, মিসাইলও সেগুলি থেকে ছোঁড়া যায় বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও পাকিস্তানের এই ব্যবস্থাকে মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলে ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে ভারতের কাছে রয়েছে শক্তিশালী এবং দুর্ধষ T-90 ট্যাঙ্ক, T-72 এবং অর্জুন ট্যাংক। জেগুলির ভয়ে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশও কাপে। পাকিস্তানের এই উদ্যোগের পালটা ভারতীয় সেনাও সীমান্ত এলাকায় রণসজ্জা সাজাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরেই ভারতীয় সেনাকে সবধরণের পরিস্থিতির জন্যে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকায় যে সমস্ত সেনা-জওয়ান অপারেশনে রয়েছেন তাঁদেরকেও হাই-অ্যালার্টে থাকতে বলা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।