ফাইল ছবি
বিশ্বের এক নম্বর শক্তিধর ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য বিরোধিতা ও হুমকি সত্ত্বেও নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হলেন জোহরান মামদানি। তার কাছে পরাজয় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া। পাশাপাশি মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। ডেমোক্রেট সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও অভিনন্দন জানিয়েছেন মামদানিকে।
ওদিকে মামদানির পার্টি অফিস উল্লাসে ফেটে পড়ছে। পড়বেই বা না কেন? একই সঙ্গে তিনি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম মেয়র তিনি। একই সঙ্গে নিউইয়র্কের ইতিহাসে গত একশত বছরের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র নির্বাচিত হলেন।
আরও আছে। তিনিই প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র। এক সঙ্গে এত্ত রেকর্ড গড়া মামদানি শিবির তাই আনন্দে ফেটে পড়ছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি, সিএনএন। বলছে, ডেমোক্রেটরা ভার্জিনিয়া ও নিউ জার্সির গভর্নর নির্বাচনেও জয়লাভ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম নির্বাচনী পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি মামদানি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যানড্রু কুমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করেন, তবে তিনি নিউইয়র্ক সিটির ফেডারেল অর্থায়ন কেটে দেবেন। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার নাগরিকরা আগামী বছরের নির্বাচনের আগে রাজ্যের কংগ্রেসীয় জেলা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ভোট দিচ্ছেন, যাতে ডেমোক্রেটদের অনুকূলে নতুন মানচিত্র আঁকা যায়। ব্রুকলিনে মামদানির পার্টি অফিস এলাকা থেকে বিবিসির সাংবাদিক কায়লা এপস্টেইন বলছেন, মামদানির জয়ের সংবাদটি ভিড়ের মধ্যে ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। ঘরের পেছনের দিকে, নিউইয়র্কের পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস নাচতে শুরু করেছেন, আনন্দে লাফাচ্ছেন।
কী হচ্ছে?-—কৌতূহলী সাংবাদিকরা জানতে চাইলেন। তখন ঘর জুড়ে উল্লাসের ঝড় উঠল—বিশাল স্ক্রিনে স্থানীয় সংবাদ চ্যানেল ঘোষণা করল, মামদানি জয়ী হয়েছেন! ডাকটি এলো অপ্রত্যাশিতভাবে এবং অনেক সমর্থক হতবাক হয়ে গেলেন, তারপর ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন কী ঘটছে। এরপর থেকেই নাচ, লাফ, উল্লাস—কিছুই থামেনি।
ডিজে বাজালেন কেন্ড্রিক লামারের ‘নট লাইক আস’ এবং মুহূর্তেই ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট পরিণত হলো এক নির্বাচনী রাতের নাচের পার্টিতে।




