ফাইল ছবি
গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে বছরের প্রথম বৃষ্টিপাত। আবহাওয়া অফিস বলছে, ২২ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টিপাত। সাথে আছে কালবৈশাখীও। ৫ দিনের টানা এই বৃষ্টিপাতে নষ্ট হতে পারে ফসলের মাঠ। তাই কৃষকদের জন্য ৮টি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
রোববার কৃষি আবহাওয়া তথ্য ও পদ্ধতি উন্নয়তকরণ প্রকল্প থেকে হালনাগাদকৃত এই তথ্য দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৪ মার্চ বৃষ্টির আগাম তথ্য জানিয়ে কৃষকদের সতর্ক করেছিল সংস্থাটি।
বিশেষ এই কৃষি আবহাওয়া পরামর্শে বলা হয়, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব জেলায় হালকা থেকে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে যা ২২ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় কোথাও কোথাও কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে সব জেলার জন্য নিচের
পরামর্শসমূহ প্রদান করা হলো-
*সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন;
*পরিপক্ক ফসল দ্রুত সংগ্রহ করে শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন।
*বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ফসল রক্ষা করার জন্য ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন উপার (৫০ গ্রাম ওষুধ ৬৪ লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে ১ বিঘা জমিতে) অথবা এজক্সিস্টবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন নাটিভো (৪০ গ্রাম ওষুধ ৬৪ লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে ১ বিঘা জমিতে) ৭-১০ দিন ব্যবধানে দুইবার স্প্রে করতে হবে।
*বোরো ধানে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। এ রোগ থেকে ফসলকে রক্ষা করার জন্য ঝড় বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার এবং ৩.৫ কেজি জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। তবে ধান গাছ যদি থোড় অবস্থা পার হয়ে থাকে তাহলে ১০ লিটার পানিতে ৬০ গ্রাম পটাশ সার, ৬০ গ্রাম থিওভিট এবং ২০ গ্রাম জিংক ভালোভাবে মিশ্রিত করে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। ঝড় বৃষ্টির পর পর ইউরিয়া সার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
* জমিতে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেজন্য নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন।
* বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।
* দণ্ডয়মান কলাগাছ, আখ ও উদ্যানতাত্বিক ফসলের জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।
* বৃষ্টিপাতের পর জো অবস্থা আসলে পাটবীজ বপন করুন।