
ফাইল ছবি
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও আশপাশের এলাকায় গতকাল সোমবার রাতে হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুলশান থানা পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমসহ (সিটিটিসি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।সোমবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে গুলশানের ডিপ্লোম্যাটিক জোনের আমেরিকান দূতাবাসের সামনে সরেজমিনে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দূতাবাসটিতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও পুলিশের বাড়তি সদস্য সংখ্যা মোতায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এলাকায় ডিএমপির গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নিজে উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করছেন।
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ডিএমপির গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আলী আহমেদ মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা আমাদের রুটিন ডিউটি, মাঝেমধ্যে আমাদের মনে হলে নিরাপত্তা জোরদার করি। এখানে ডিএমপির সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন আছে। এ ছাড়া আমিও দূতাবাসের সামনে আছি।’
মার্কিন দূতাবাসকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে এ রকম মনে হয় না। আবার মনে হলে এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।’
তবে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছিল একটি গোষ্ঠী। হামলা করতে পারে- এমন তিনজনের পরিচয় ইতোমধ্যে নিজস্ব তদন্তের বরাতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এই তিনজনের নাম-পরিচয় ঠিকানা ও ছবিসহ তথ্য পেয়েছে দূতাবাস। এই তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক।
পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এ ছাড়া এই সন্দেহভাজন তিনজনের নাম-পরিচয় পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা যায়, দূতাবাস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ও হামলার হুমকির বিষয়ে ডিএমপিকে জানানোর পর পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) কর্মকর্তারা, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা সোয়াতের টিম নিয়ে দূতাবাস এলাকায় যান এবং সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বিপরীতে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ওই বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অংশ নেন।