
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘প্রতীকের যে তালিকা, সেখানে শাপলা নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) বিকল্প একটা প্রস্তাব আমাদের কাছে পাঠাতে হবে।’এনসিপি’র দলীয় প্রতীক পাওয়া প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সচিব বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রতীকের তালিকা ভেটিং হয়ে এসেছে। সেই তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই।’আখতার আহমেদ বলেন, ‘এনসিপি জানে এই প্রতীকটা নেই, নিষ্পত্তি এখন তাহলে দু’জনের সম্মতিতেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। কারণ হলো—১১৫টা যে শিডিউল করা হয়েছে, সেখানে শাপলা প্রতীক নেই। নিয়মটা হলো, যে প্রতীকগুলো আছে সেখান থেকে একটা নিতে হবে। সেখানে যদি শাপলা প্রতীক না থাকে, তাহলে দেয়ার সুযোগটা কোথায়?’
এ বছর জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’কে বিধিমালার তপসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এর আগে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের গড়া রাজনৈতিক দল এনসিপি নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চায়। এনসিপির আবেদনে পছন্দের প্রতীকের তালিকায় শাপলা ছাড়াও ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ রাখা হয়েছে।
গত ৯ জুলাই নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত করা হবে না মর্মে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, অতীতেও কোনো কোনো দল শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, কিন্তু দেয়া হয়নি। জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে আইন আছে। তবে জাতীয় ফুল বা ফলের বিষয়ে আইন করা হয়নি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তপশিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন এনসিপি’র মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রতীকের বিষয়ে আমরা বলেছি, আমাদের প্রতীক শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা। আমরা যে তিনটি প্রতীকের কথা বলেছি তা থেকে সরছি না।’