
ছবি- সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার আগে এ অভিযান শুরু হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, উদ্যানের ভেতরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। রাজউক থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভেকু মেশিন ভাসমান সব দোকান গুড়িয়ে দেয়। অনেকে তড়িঘড়ি করে তাদের জিনিসপত্র যতটা সম্ভব সরিয়ে নেন।
সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর ঢাবি প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিল আগেই্। তাদের মধ্যে বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
উচ্ছেদের বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন-
১. রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে।
২. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ডিএমপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে।
৩. নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
৪. উদ্যানে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।
৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে।
৬. উদ্যানে রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে।
৭. রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
অবিলম্বে এসকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। ইতোমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।