
ছবি: সংগৃহীত
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা ৩ মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেয়া হয়েছে।
গুমের অভিযোগে করা দু’টি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে করা মামলায় শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এসব আদেশ দেন।এদিকে, শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসব আসামিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে আনলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’ এখন আসামিদেরকে কোন কারাগারে রাখা হবে তা কারা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে বলে জানান তিনি।
এদিন ৩টি মামলার মধ্যে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে অপহরণ, গুম ও নির্যাতনে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মোট ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। তারা হলেন-কর্নেল এ কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল, কর্নেল মো. সরওয়ার বিন কাসেম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান।
এছাড়া জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোট ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার ৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তারা হলেন-মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়া জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিক।রাজনৈতিক বই
এদিকে, গত বছর জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে ১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় গুলি করে ২৮ জনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা আরেক মামলায় ৪ জন আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার ২ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এই মামলায় মোট ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেদওয়ানুল ইসলাম ও মেজর রাফাত বিন আলম মুন।