ছবি: বহুমাত্রিক.কম
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকায় উদযাপিত হয়েছে রাশিয়া দিবস। ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটার মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।
ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পাভেল দভইচেনকভ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, রাশিয়া দিবস হচ্ছে রাশিয়ান ফেডারেশনের একটি সরকারি ছুটির দিন, মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার দিন, যা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা সক্রিয়ভাবে বিকশিত হচ্ছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার জন্য রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের কোটার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাশিয়ান ভাষা শেখার আগ্রহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর দেশ পুনর্গঠনে সহায়তাসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অসম্ভব ছিল।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের রাশিয়া সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা, এর অনন্য স্থাপত্য নিদর্শন এবং আকর্ষণ, লোক কারুশিল্প এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশের যুবকদের সাথে যৌথভাবে ঢাকায় রাশিয়ান হাউস কর্তৃকআয়োজিতরুশ সংগীত পরিবেশন সহ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে 'ক্রিমিয়ার রেনেসাঁ' ১০ বছর আগে রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার পর ক্রিমিয়ায় কী পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচলচ্চিত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, জনসাধারণ, যুব সংগঠন, বিজ্ঞান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ-রাশিয়া মৈত্রী সমিতির প্রতিনিধি, বাংলাদেশে রাশিয়ান সোভিয়েত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং রুশ স্বদেশবাসী সহ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।