
ছবি- সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকার পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত বাধা দেওয়া হয়ে থাকে।সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ ওয়াশিংটন থেকে ২০২২ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে একথা বলেছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেখুন।
প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের যে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় বহাল আছে, তা অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিল না বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকেরা। ব্যালট বাক্স নিজেরাই ভর্তি করা, ভোটার ও প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্টদের হেনস্তা করা ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার জন্য নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে সরকার ও তার এজেন্টদের দ্বারা যথেচ্ছ হত্যা, সাজানো মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা যথেচ্ছ গ্রেপ্তার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনা অব্যাহত ছিল। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার অজুহাতে তার স্বজনদের হেনস্তা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রে জবাবদিহির মারাত্মক অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, দলীয়করণ ও দুর্নীতির কারণে বিচারবিভাগের মারাত্মক সংকট চলছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এতে সুবিচার ও ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগসহ নানা উপায়ে মানুষের মত প্রকাশের ওপর লাগাম দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের ওপর নানা উপায়ে সেন্সরশিপ আরোপ ও নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া ২০২২ সালেও অব্যাহত ছিল।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের কথাগুলো 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে অভিহিত করেছেন।