
ছবি- সংগৃহীত
রাত পোহালেই নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বনেতাদের বরণ করে নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ভারতের রাজধানী। শনিবার ও রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ‘স্টেট অব দ্য আর্ট’ ভারতমণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের এবারের আসর।
নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশের রাজধানী। ভারতীয় শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি এবং আভিজাত্যের নানা অনুসঙ্গ দিয়ে সেজেছে চারপাশ।
মূলত গোটা বিশ্বের চোখ আগামী কয়েক দিন থাকবে ভারতের রাজধানীর এই ভারত মণ্ডপের দিকেই। আর সেই মণ্ডপের চারপাশসহ গোটা শহরজুড়ে সাজানো হয়েছে বর্ণিল প্ল্যাকার্ড আর ব্যানার। শোভা পাচ্ছে আমন্ত্রিত দেশগুলোর জাতীয় পতাকা এবং রাষ্ট্রীয় নেতাদের ছবি।
সম্মেলনে যোগ দিতে এরইমধ্যে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বের অন্য নেতারা শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ভারতে আসা শুরু করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এতে আরও যোগ দেবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা।
সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে দিল্লিজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আমন্ত্রিত অতিথিদের তিন স্তরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন তিন ধরনের নিরাপত্তা বাহিনী। শহরজুড়ে গত কয়েকদিন ধরে শুরু হয়েছে এ রকমই নিরাপত্তার মহড়া। বিশ্বের সামনে রাজধানী দিল্লিকে তুলে ধরার এই চেষ্টাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নগরবাসী।
এবারের জি-২০ সম্মেলনের থিম রাখা হয়েছে এক পৃথিবী এক পরিবার এক ভবিষ্যৎ। গোটা পৃথিবী যখন করোনার মত মহামারিকে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক মন্দা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী চীন এবং পাকিস্তানের বৈরি সম্পর্কও রয়েছে আলোচনায়। তবুও চলমান এই আয়োজনে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর নেতৃত্বের মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হবে বলে মত দেশটির সাধারণ মানুষের।