![একমাসও পেরোয়নি :এডিপি’র অর্থায়নে নির্মিত গাইডওয়াল ধ্বসে পড়ছে একমাসও পেরোয়নি :এডিপি’র অর্থায়নে নির্মিত গাইডওয়াল ধ্বসে পড়ছে](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/Kamalgonj20220803010611.jpg)
ছবি- বহুমাত্রিক.কম
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) এর অর্থায়নে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধে নির্মাণের এক মাসের মাথায় ধ্বসে পড়ছে গাইডওয়াল। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগান ফ্যাক্টরী সংলগ্ন কালভার্টের উভয়পাশে টেন্ডারের মাধ্যমে গাইডওয়াল নির্মিত হয়। এটি ধ্বসে পড়ায় সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুণরায় কাজ করে দেবেন বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগান ফ্যাক্টরী সংলগ্ন সমির পালের বাড়ির নিকট কালভার্টের উভয়পার্শ্বে টেন্ডারের মাধ্যমে গাইডওয়াল নির্মিত হয়। এডিপি’র অর্থায়নে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কমলগঞ্জ এলজিইডি ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে। কাজ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই দু’পাশের দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। একপাশে পুণ:মেরামত করা হলেও পশ্চিম পাশের দেয়াল ও নির্মিত পিলার ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে। এতে রাস্তারও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।
কমলগঞ্জ এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, এডিপি’র অর্থায়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে চা বাগানের ভেতরে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রদান করা হয়। স্থানীয় ঠিকাদার করোনা শর্ম্মা গাইডওয়াল নির্মাণের কাজ করেন। কাজে ত্রুটি দেখা দেয়ায় আবারও তাকে নতুনভাবে কাজ করে দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে ঠিকাদার করোনা শর্ম্মা বলেন, কাজে সমস্যা দেখা দেয়ায় পুণরায় নতুনভাবে কাজ করে দিতে বলেছেন এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী। তাই আবারও কাজ করা হবে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুজাত খান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আজ আমরা গিয়ে সরেজমিনে দেখে আসছি। লে-আউট চেঞ্জ করে একই অর্থায়নের ভেতরে ঠিকাদার পুণরায় কাজ করে দিতে বলা হয়েছে। ওই ঠিকাদার কাজ না করলে অন্য ঠিকাদারকে দেয়া হবে বলে তিনি দাবি করেন।
বহুমাত্রিক.কম