বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারিভাবে বরাদ্দ না থাকায় জ্বালানি তেল সংকটের কারণে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালের জেনারেটর। বন্ধ হবার পথে মূমূর্ষ রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার প্রতিকার চেয়েও কোন সমাধান পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে লোডশেডিং-এর সময় রোগীদের থাকতে হচ্ছে অন্ধকারে।
হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালের জন্য প্রতিমাসে এ্যাম্বুলেন্স ও জেনারেটরের জন্য ৭৮৫ লিটার ডিজেলের চাহিদা রয়েছে। সে হিসেবে প্রতিবছর ৯৪২০ লিটার প্রয়োজনীয় ডিজেল মূল্য দাঁড়ায় ৭০টাকা দরে কমপক্ষে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪শ’ টাকা। সূত্র আরও জানায়, চলতি অর্থবছরে এপর্যন্ত সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহন থেকে আয় হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭শ’ টাকা। যা সরকারী খাতে জমা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মো. আলতাফ হোসেন জানান, হাসপাতালের জেনারেটর ও এ্যাম্বুলেন্স বাবাদ সরকারী কোন বরাদ্দ নেই। এ্যাম্বুলেন্স বাবদ আয় সরকারকে জমা দেয়া হলেও জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের চাহিদানুযায়ী তেল সরবরাহ করার জন্য অর্থ ছাড় দিচ্ছেনা। ফলে জেনারেটরে জ্বালানি তেল সঙ্কটের কারণে গত একসপ্তাহ যাবৎ জেনারেটর বন্ধ রয়েছে।
তিনি জানান, রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য গৌরনদী সেন্ট পিটার ফিলিং স্টেশন থেকে বাকিতে জ্বালানি তেল করে এতদিন এগুলো সচল রাখা হয়েছিল। বর্তমানে ওই ফিলিং স্টেশনে প্রায় ৫ লাখ টাকা পাবে হাসপাতালের কাছে। হাসপাতাল থেকে তাদের মাত্র ২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তারা এখন বাকিতে তেল না দেয়ায় এবং সরকারীভাবে বরাদ্দ না থাকায় জেনারেটর বন্ধ রাখার কারণে লোডশেডিং-এর সময় হাসপাতালে রোগীদের অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্সটিও বন্ধের পথে রয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম