ঢাকা : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের বিকাশমান শিল্পকারখানা প্রসারের জন্য আলাদা আলাদা শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হবে।
নি বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে শিল্পকারখানা স্থাপন করা হলে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নানা সংযোগ পেতে ঝামেলা হয়, অনেক সময় বিশৃংখলা ঘটে। নিরাপত্তার অভাব হয়, কিন্তু একীভুত থাকলে গ্যাস বিদ্যুৎসহ সকল প্রকার প্রয়োজন দ্রুত মেটানো যায়।’
নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কমিউনিটি সেন্টারের শীতলক্ষ্যা মিলনায়তনে আজ বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিকেএমএ’র সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, সংরক্ষিত আসনের হোসনে আরা বেগম বাবলী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বারে সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল ও শ্রমিক লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।
আমির হোসেন আমু বলেন, কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, মুদ্রণ শিল্প, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অগ্রসরমান শিল্পের বিকাশের জন্য আলাদা আলাদা শিল্পপার্ক নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী বিকেএমইএ’র নেতাদের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিল্পবান্ধব সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তাবায়নের জন্য সকল দাবি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পাট শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। পাট থেকে শাড়ি, স্যুট, টাই, ভ্যানিটি ব্যাগসহ নানা পণ্য তৈরি হচ্ছে। এই শিল্পের প্রসারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নিয়েছেন। আদমজী জুট মিল পাট শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। তাই আদমজী জুট মিলের জায়গা পাটের জন্যই প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করবেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে প্রমাণ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, জঙ্গীবাদের একটি কালো ছায়া এই দেশকে আবারো গ্রাস করতে চাইছে। নানা রকমের হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিরা আজ দেশের উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে চাইছে। সেই ’৭১ থেকে রাজাকারের দল আজ পর্যন্ত ক্ষমতা হাসিল করতে না পেরে জঙ্গিবাদের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে, কিন্তু তা সম্ভব নয়।
এর আগে মন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে সংবর্ধনা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।