
ফাইল ছবি
রাজধানীর মোহাম্মপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর এখন চারদিকে শুধুই ধ্বংসস্তুপ। কোথাও পড়ে আছে পোড়া কাপড়, কোথা পোড়া চাল। কয়লা হয়ে গেছে ক্যাশ বাক্স। সম্বল হারিয়ে থামছে না ব্যবসায়ীদের কান্না। এর মধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কৃষি মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
কৃষি মার্কেটের রতন জেনারেল স্টোরের মালিক মোহাম্মদ সনেট সাপ্তাহিক ছুটির দিন সামনে রেখে ভালো বেচাকেনার আশায় গুদাম ও দোকানে রেখেছিলেন কোটি টাকার পণ্য। কিন্তু শুক্রবার এসে দেখলেন শুধুই কয়লা।
সময় সংবাদকে মোহাম্মদ সনেট বলেন, একটা মানুষকে দেখলেই বুঝা যায়। কালকে কোটিপতি ছিল আজকে কিছু নাই। আমাদের সাপ্তাহিক ছুটি থাকে বৃহস্পতিবার। এজন্য দুইদিনের মাল কিনে এনে রাখতে হয়। সব মালই আমরা বুধবার কিনে এনে ঠিক করে রেখে গেছি। কাগজপত্র, দরকারি কোনো কিছুই নিতে পারিনাই।
অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, ক্যাশে অনেক টাকা ছিল। দরকারি কাগজপত্র ছিল। এই মার্কেটে তাদের ৩০ লাখ টাকার ওপর বাকি আছে সেটাও মাইর যাবে। একদম পথে বসে গেছি আমরা।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এক একটা বস্তা আমনের ৪ হাজার আছে, ৩ হাজার আছে, ২ হাজার আছে। এখন ২০০/৩০০ যা হয় তাই বেচি। আগুনে পুড়লে তো কিছুই থাকে না। আমাদের কপালও পুড়েছে। যদি মার্কেটটা দ্রুত চালু হয় তাহলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। নাহলে আমাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নাই।’
এ সময় সরকারের ত্রাণ নয়, বরং বঙ্গবাজারের মতো অস্থায়ী ভিত্তিতে দ্রুত মার্কেট চালুর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের এসব কথা শুনে কৃষিমন্ত্রী জানান, ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বঙ্গবাজারের মতো অস্থায়ী ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ে এখনো আলোচনা হয় নাই। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হলো তাদেরকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার।