ছবি- সংগৃহীত
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান। শনিবার রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ের খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ কনফারেন্স কক্ষে উপস্থাপিত মূল নিবন্ধে ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘সরকার স্বদেশি উন্নয়নের সাহস নিয়ে এবার যে বাজেট দিয়েছে তা জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল একটি বাজেট হিসেবেই মনে করছি। কৃষিসহ অন্যান্য খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার যে আন্তরিক চেষ্টা সরকার করেছে তা একটি সরকার দৃঢ় সংকল্প থাকলেই কেবল করতে পারে।’
‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি উচ্চাভিলাষী নয়, বরং সংস্কারমুখী’ উল্লেখ করে ড. রহমান বলেন, ‘৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে ধরে রাখা খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। এক্ষেত্রে আমাদের বছরজুড়েই ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে।’
ড. আতিউর আরও বলেন ‘ঘাটতি অর্থায়ন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগের পাশাপাশি মুদ্রানীতিতেও পদক্ষেপ থাকতে হবে। বাজেট ও মুদ্রানীতির সুসমন্বয় নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি। এনবিআরকে কর আহরণে ডিজিটাল সেবা বৃদ্ধির দিকে আরও নজর দিতে হবে। যাতে করে সাধারণ মানুষের করপ্রশাসনের দ্বারা হয়রানির অভিযোগ না উঠে।’
ড. আতিউর বলেন, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের বিদেশ যাত্রা, স্মার্টফোনে বাড়তি করারোপের আওতায় রাখার মতো কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। সেইসঙ্গে সার্বজনীন হেলথ প্যাকেজ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
উন্নয়ন সমন্বয়ের এমেরিটাস ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলীর সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ নাদভী, লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা, এবং সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শাহনাজ হীরা।