ছবি- বহুমাত্রিক.কম
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে জেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা পর্যায়ে সাহিত্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তখন এ নির্দেশনার যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, দেহের খোরাক জোগানোর পাশাপাশি মনের খোরাকও নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেহের খোরাক জুগিয়েছি। হৃদয়ের খোরাক জোগানোর জন্য দেশব্যাপী সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। সে আলোকে দেশব্যাপী প্রতিটি জেলায় সাহিত্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার সকালে শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে শেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী `শেরপুর জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২` এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার এর সভাপতিত্বে `শেরপুর জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২` এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে আলোকপাত করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোঃ আবদুস সামাদ ফারুক, শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম, শেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এ. জেড. এম. মোরশেদ আলী, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুর রশীদ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার এ. এস. এম. নুরুল ইসলাম হিরো ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শেরপুর সদর উপজেলা কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ মোখলেছুর রহমান আকন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ।
প্রধান অতিথি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন মৌলিক চিন্তার পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে তাঁর ছিল আত্মিক সংযোগ। তিনি প্রথম থেকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সার্বিক দিকনির্দেশনাকে অন্তরে ধারণ করে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।
কে এম খালিদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে। বদলে গেছে সমাজ ও রাষ্ট্র। শুধু বদলায়নি বিএনপি। তারা এখন স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এসময় বিএনপি`র রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তকে নস্যাৎ করতে সকলকে সজাগ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি নতুন প্রজন্মকে তাদের জীবনের প্রথম ভোট স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে দেয়ার অনুরোধ করেন।
উদ্বোধক জাতীয় সংসদের হুইপ মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি বলেন, শেরপুর জেলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে কতটা ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ তা স্বাধীনতার পর এ জেলায় প্রথমবারের মত আয়োজিত সাহিত্যমেলার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এ জেলায় সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রসারে কালচারাল একাডেমি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
বহুমাত্রিক.কম