মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সনদপত্র সহজীকরণ ও অনলাইনে ডাটাব্যজ সংগ্রহ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় কিছু সাঁওতালদের অভিযোগ তাদের জন্য ঋণ বা প্রশিক্ষণের কোন ব্যবস্থা নাই। কিছু সংখ্যক সাঁওতাল ঋণ পেলেও অধিকাংশরাই বঞ্চিত।
প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা কেন্দ্র ও সরকারি পৃষ্টপোষকতা না পাওয়ায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির মাতৃভাষা এবং নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে হুমকির মুখে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সনদ গ্রহনে সময়ক্ষেপণসহ নানা জটিলতার কারণে শুমারি করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করে রাখলে তাদের সদস্যরা সহজেই সনদ গ্রহণ করে প্রয়োজনী কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেছেন, আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় তাদের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
বৃহত্তর সিলেট বিভাগের ৭০টি খাসিয়া পুঞ্জি থেকে আগত নারী-পুরষ, শিশু-কিশোররা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে এসে এসব স্টল থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাবেচা করছেন।
প্রতি বছরের মত এবারও কার্ত্তিকের হরি উত্থান তিথিতে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল গ্রামের মণিপুরি মৈতৈ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী “নিঙোল পালী” উৎসব পালিত হয়েছে।
ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসবে যোগ দিয়ে আশপাশের গ্রামে গিয়ে গারো সম্প্রদায়ের সদস্যরা চুঁ (মদ) পান করে।
বাংলাদেশ মণিপুরী আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কমলগঞ্জ উপজেলার দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলা তাঁতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কমলগঞ্জে বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরাম সহ মনিপুরী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজে জালিয়াতির মাধ্যমে উপজাতি কৌটায় অ-উপজাতি ছাত্রদের ভর্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।