
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি চাকরি থেকে কর্মী ছাঁটাই পরিকল্পনায় আরেক ধাপ এগোল ট্রাম্প প্রশাসন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে নির্বাহী আদেশের বৈধতা মেলায় নতুন করে শুরু হতে পারে বড় পরিসরের ছাঁটাই প্রক্রিয়া। বিষয়টিকে প্রশাসনের একটি নীতিগত অগ্রগতি হিসেবে দেখা হলেও, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে চাকরি হারাতে পারেন হাজারো মার্কিন নাগরিক।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডজনখানেক দফতরে জনবল কমানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়। কৃষি, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, অর্থসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এই পরিকল্পনার আওতায় ছিল। তবে গত মে মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত ট্রাম্পের ছাঁটাই পরিকল্পনায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিলে বিষয়টি ঝুলে যায়। তবে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে রায় দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত।
এক সংক্ষিপ্ত আদেশে সুপ্রিম কোর্ট জানান ট্রাম্প আইনের সীমা অতিক্রম করেননি। প্রেসিডেন্ট মার্কিন কংগ্রেসের পরামর্শ ছাড়াই দপ্তর পুনর্গঠনের নির্দেশ দিতে পারেন না, আগের এমন যুক্তি গ্রহণ করেননি সর্বোচ্চ আদালত। যদিও কোন সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাই করা যাবে, কত সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে সুপ্রিম এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি। তবে আগের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় চাকরি হারানোর আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
আদালতের রায়কে প্রেসিডেন্টের বিজয় বলে আখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বলেছে, এটি সরকারি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আদালতের রায় পেলেও এখনই ছাঁটাই কার্যক্রম শুরু করা যাবে না।
আইনি জটিলতা, ইউনিয়ন বিরোধিতা এবং সিভিল সার্ভিস সুরক্ষা বিষয়ক বাঁধাগুলো ছাঁটাইয়ের সময় ও পরিধি নির্ধারণ করবে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এরই মধ্যে প্রায় দুই হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে এই সিদ্ধান্তে বড় পরিসরের কর্মী ছাঁটাই ও সরকারি কাঠামো ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।