
বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যেতে শুরু করেছে ভ্রমণ পিপাসুরা। রোদ, বৃষ্টি এবং উত্তাল সাগর সব কিছুই এখন হয়ে উঠেছে সব বয়সের মানুষের বিনোদনের। লঘুচাপের কারণে ৩ নম্বর সংকেত থাকায় পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা। আর কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ঈদুল আজহার টানা ছুটি। তাই স্বাভাবিকভাবে সৈকত শহর কক্সবাজারে হাজার হাজার পর্যটকের ঢল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি ও ভারী বৃষ্টির কারণে সকালে সৈকতের সবকটি পয়েন্টে পর্যটকের আনাগোনা ছিল কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করে। দেখা মিলে রোদের।
এরপর থেকে দলে দলে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা সৈকতে আসতে থাকে। এতে প্রাণ ফিরে পায় সাগর তীর। উত্তাল সাগরে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ভ্রমণ পিপাসুরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ফলে সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা।
কক্সবাজার সী-সেইভ লাইফ গার্ডের সুপার ভাইজার মো. ওসমান গণি বলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকায় পর্যটকদের নিরাপদ থাকার জন্য কূলের কাছাকাছি থাকার জন্য বলা হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকত ও পর্যটন স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে ১৪ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সৈকত শহর কক্সবাজারের চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলো পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকবে।