Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

আশ্বিন ২ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পোশাক কারখানা বন্ধ হবে কিনা, জানা যাবে ২৫ মার্চ

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ২৩ মার্চ ২০২০

প্রিন্ট:

পোশাক কারখানা বন্ধ হবে কিনা, জানা যাবে ২৫ মার্চ

ঢাকা : মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়নি।

পোশাক কারখানা বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে ২৫ মার্চ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।

তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আমরা খুব ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। ক্রেতারা সব ধরনের ক্রয় আদেশ স্থগিত করছে। বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হচ্ছে। এ খাত নিয়ে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা কারখানা খোলা রাখবো নাকি বন্ধ রাখব এ বিষয়ে ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেবেন।

এদিকে সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এ সময় পোশাক খাত বন্ধ থাকবে কি-না জানতে চাইলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে মাস্কসহ বিভিন্ন পণ্য পোশাক কারখানাগুলো তৈরি করে বিভিন্ন সংস্থার কাছে সরবরাহ করছে। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে ২২ মার্চ বিজিএমইএর সভাপতি জানান, ভয়াবহ অবস্থা চলছে আমাদের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেতারা সব ধরনের ক্রয় আদেশ স্থগিত করছে। তবে আমাদের জন্য এটি স্থগিত নয় বাতিল। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ মার্চ পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতের এক হাজার ৮৯টি কারখানার ক্রয় আদেশ স্থগিত করেছে। ৮৭ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২টি পোশাক কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ১ দশমকি ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।

বিশ্বে তৈরি পোশাকের সরবরাহকারী হিসেবে চীনের পর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ খ্যাতনামা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। দেশের রফতানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে এই খাত থেকে।

প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পোশাক কারখানায় রয়েছে। যেখানে কাজ করেন অন্তত ৫০ লাখ শ্রমিক, যাদের বেশিরভাগই নারী। তাদের অনেকের আয়ের ওপর পুরো পরিবার নির্ভরশীল। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে লাখ লাখ পরিবারের খাবার জোগানো কষ্ট হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গত দুইদিন ধরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের বৈঠকে অংশ নেয়া শ্রমিক নেতারা কারখানা চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে কারখানার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables