
সাভার : রাজধানী ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল সাভার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও আশুলিয়ার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৯ আসন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও মাঠ গরম করছেন সাবেক সংসদ সদস্য মুরাদ জং ভক্তরা।
সম্প্রতি সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে শোভা পাচ্ছে সাবেক সাংসদ মুরাদ জং এর পোস্টার ও ফ্যাস্টুন। সাবেক এমপি হিসাবে সাভার-আশুলিয়ায় রয়েছে তার অনেক কর্মীসমর্থক। বিশষে করে আশুলিয়ায় তার পৈত্রিক নিবাস এবং পিতা সাভারের সাবেক সাংসদ হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও রয়েছে তার অনেক পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা।
আসনের আনাচে কানাচে সকল এলাকা জুড়ে ও সাভার পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এক রাতেই লাখো পোস্টার দিয়ে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকাটি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মুরাদ জং দীর্ঘ ৫ বছর ছিলেন রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে দূরে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর তার রানা প্লাজার মালিক ও যুবলীগ নেতা সোহেল রানার সাথে সখ্যতার কারনে দলীয় রাজনীতির মারপ্যাচে গত নির্বাচনে মনোনয়ন যুদ্ধে হেরে অনেকা নীরব থাকেন আওয়ামীলীগের এই নেতা। পরবর্তীতে রানা প্লাজা ধসের সময় আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আওয়ামীলীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মন জয় করে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ চিকিৎসক এনামুর রহমান।
ফলে স্থানীয় একাধিক নেতারা বর্তমান সাংসদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন যুদ্ধে নেমে পড়েছেন। সাভার উপজেলার একাধিক ব্যাক্তি এই মনোনয়ন যুদ্ধে নামার ফলে স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির কোন্দল আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কে হবেন দলের কান্ডারী এই নিয়েই স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীরা রয়েছেন অন্ধকারে।
এরই মধ্যে হঠাৎ করেই প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা ও এমপি আনোয়ার জংয়ের যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে সাবেক সাংসদ মুরাদ জং সাভার-আশুলিয়ার আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সংবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে স্বস্তি নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারন ভোটাররা।
তিনি বিগত নির্বাচনগুলোতে তিন বার আওয়ামীলীগের নৌকার প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন। তার পিতা প্রয়াত আনোয়ার জং সাভারের দুই বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুরাদ জং ফিরে এলে এই আসনের দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক শুন্যতা পূরন হবে।
তবে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ মহলে মুরাদ জংকে নিয়েও ভাবছেন। আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকের আশ্বাস পাওয়ার পরই তিনি আবারো সক্রিয় হচ্ছেন সাভার-আশুলিয়ার আওয়ামীলীগের রাজণীতিতে।
মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে মুরাদ জং বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। জাতির পিতার দেখানো রাজনীতির আদর্শকে বুকে ধারন করে জননেত্রী, মাদার অব হিউমিনিটি, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির ছাত্র হিসাবে সাভার-আশুলিয়ার গণমানুষের সাথে অতীতে যেমন ছিলাম এখনো আছি আর ভবিষ্যতেও থাকবো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি ঢাকা-১৯ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয় চাইবো। আশা করি আমার নেত্রী আমাকে আবারো সাভার-আশুলিয়ার নৌকার মাঝি হিসাবে ঘোষণা করবেন।
বহুমাত্রিক.কম