
-লেখক
ঝাড়গ্রাম থেকে প্রায় পয়ত্রিশ কিলোমিটার দুরে জাতীয় সড়ক নম্বর ৬ এর ধারে অবস্থিত গুপ্তমনি মায়ের মন্দির প্রায় সাড়ে চারশো বছরের পুরনো। কেউ বলেন বনদেবী, কেউ বলেন বন দুর্গা আবার কেউ বলেন মা গুপ্তমনি। মাকে ভক্তিভরে ডাকলে বা মায়ের কাছে নিষ্ঠা সহকারে কিছু মানত করলে মনস্কামনা ও কার্যসিদ্ধি হয় এমনটাই কথিত আছে ঝাড়গ্রাম বাসীর মুখে।
স্থানীয় অধিবাসীদের মতে এই মন্দির খুবই জাগ্রত। দূর দুরান্তর থেকে এমনকি বিদেশ থেকে লোকজন এই মন্দিরে আসে এবং নিষ্ঠা সহকারে পুজো দেন ও মানত করেন। মা ভক্তকুলের মনের ইচ্ছা পুরন করেন। এই মন্দিরে কোন প্রতিমা নেই, মা এখানে পাথরে বিরাজমান এবং পাথরের আড়ালে গুপ্ত ভাবে থাকেন প্রদীপ ও মোমবাতির আলোর আড়ালে।
মা গুপ্তমনি মন্দিরের পুরোহিতরা হলেন লোধা ও সবর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং এনাদের হাতেই মা এখানে পূজিত হন তাই এই মন্দিরে কোন ব্রাম্ভন পুরোহিত নেই। মা এখানে গুপ্ত থাকেন বলে এই মন্দিরের নামকরন করা হয় গুপ্তমনিমন্দির। মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম সফরকালে এই মন্দির পরিদর্শন করেন এবং নিষ্ঠা সহকারে পুজো নিবেদন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী এই মন্দিরের উন্নয়নের খাতে ইতিমধ্যে ১ কোটি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন মন্দির উন্নয়ন কমিটির কাছে। মন্দিরকে ঘিরে কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার মুখে। সাদামাটা এই মন্দিরের ইতিহাস অবাক করার মত। কথিত আছে আজ থেকে প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে জনৈক নন্দলাল ভোক্তা মায়ের স্বপ্নাদেশে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতি বছর দুর্গা পুজোর সময় ঝাড়গ্রাম রাজপরিবারের তরফ থেকে মায়ের জন্য আসে বিশেষ শাড়ী, পলা ও ফুল না গেলে পূজো শুরু হয় না। প্রতি বছর শবররাই পূজো করেন।
বহুমাত্রিক.কম