ঢাকা : আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ছাড়ছেন দুই মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বারাক ওবামা এবং তার পরিবারকে।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি ছিলেন মিশেল ওবামা তার আবেগঘন বক্তৃতায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে অভিবাসী, মুসলিম ও অন্য জাতি-ধর্মের মানুষ, যারা মনে করেন ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে তারা বঞ্চিত হবেন, তাদেরকে এক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান মিশেল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈচিত্র্য নিয়েই আমরা গর্ব করি। সেই বৈচিত্র্য আমাদের ধর্ম-বর্ণ-জাতি ও বিশ্বাসের বৈচিত্র্য। এটা কখনও আমাদের জন্য হুমকি নয়। বরং এই বৈচিত্র্যের মধ্য দিয়ে আমরা কারা, সেই বিষয়ে প্রতিভাত হয়।
মিশেল বলেন, কোনোভাবে নিজেকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করার সুযোগ দিবেন না। কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আপনার কোনো ঠাঁই নাই, এমনটা ভাবারও সুযোগ যেন কেউ না পায়। কারণ আপনি করে দেখিয়েছেন।’
স্কুল কাউন্সিলরদের উদ্দেশে দেওয়া শুক্রবারের ওই বক্তৃতায় মিশেল বলেন, ‘ফার্স্ট লেডি হওয়াটা আমার জীবনের সবচে বড় সম্মানের।’ হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও নিজের সামাজিক কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যাবেন বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আলোচিত ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।
তরুণদের উদ্দেশে মিশেল বলেন, ‘তোমরা ভয় পাবে না। নিজের জায়গা নিজেই তৈরি করে নেবে। আমেরিকার ইতিহাসকে গর্বিত করার চেষ্টা করবে তোমরা।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মার্কিন ফার্স্ট লেডি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কঠোর পরিশ্রম ও নিজের প্রতি বিশ্বাস যেকোনো স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। ভাঙতে পারে সীমাবদ্ধতার দেয়াল।’
শুক্রবারের ওই বক্তৃতায় মিশেল ছিলেন বেশ আবেগাল্পুত। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের বক্তব্য শেষ করেন তিনি। ফার্স্ট লেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে তার সর্বশেষ বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর মিশেল অনেককে জড়িয়ে ধরেন।